বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে ২১ডিগ্রী ৫০ মিনিট ০৫ সেকেন্ড হতে ২৩ ডিগ্রী ০৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রী ৫৯ মিনিট ৫০ সেকেন্ডহতে ৯১ ডিগ্রী ০৪ মিনিট ৮৮ সেকেন্ড পূর্বদ্রাঘিমাংশের মধ্যবর্তী স্থানে সমুদ্রতল হতে 11©©© ©উচ্চে বরগুনা জেলা অবস্থিত। বরগুনা জেলার উত্তরে ঝালকাঠী,বরিশাল,পিরোজপুর ও পটুয়াখালী জেলা, দক্ষিণে পটুয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে পটুয়াখালী জেলা, পশ্চিমে পিরোজুর ও বাগেরহাট জেলা। জেলার উল্লেখযোগ্য নদী গুলো হলো পায়রা,বিষখালী ও বলেশ্বর। এখানকার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ৩৩.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিমান ১২.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫০৬ মিঃমিঃ।
বরগুনা নামের ইতিহাসের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না পাওয়াগেলেও জানা যায় যে,উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এতদ্ঞ্চলে কাঠ নিতে এসে খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন(দরি)টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা। কেউ কেউ বলেন ,বরগুনা নামক কোন প্রতাপশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা ।আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয় বরগুনা।
সাগর উপকূলীয় জেলা বরগুনার সাথে আন্তঃজেলা এর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। সড়ক পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে ফেরী পারাপার থাকায় যোগাযোগ বেশ সময় সাপেক্ষ। নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলেও সময় মত কাঙ্খিতমানের পার্যাপ্তর নৌ-যান পাওয়া যায়না।
বরগুনা সদর থেকে সড়ক পথে পায়রা,লেবুখালী ও কির্তনখোলা নদী ফেরী পারাপারের মাধ্যমে পটুয়াখালী হয়ে বরিশাল বিভাগীয় শহরে পৌছান যায়। এ পথের মোট দূরত্ব প্রায় ৯০ কিঃমিঃ এবং সময় লাগে প্রায় ০৪ ঘন্টা। বর্তমানেএ পথের বিকল্প হিসেবে বরিশাল বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের জন্য বরগুনা-বেতাগী-মির্জাগজ্ঞ-বাকেরগজ্ঞ-দপদপিয়া সড়কটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পথে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগলেও সড়কটিতে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় এ পথটি কম ব্যবহৃত হচ্ছে।
বরগুনা ও ঝালকাঠীর মাঝে নৌ-পথে যোগাযোগ বিদ্যমান। এ ছাড়া সড়কপথে বরিশাল হয়ে ঝালকাঠীতে যাওয়া যায় যা অত্যন্তব্যয়বহুল ও