টহলকে পুলিশি কর্মকান্ডের মেরুদন্ড বলা হয় ৷ যে কোন পুলিশ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের ইউনিটগুলোর অধিকাংশ সদস্যই টহল কাজে নিয়োজিত থাকে৷ টহলের উদ্দেশ্য মূলত তিনটি :-
(ক) অপরাধ নিবারণ করা ৷
(খ) জনগনের মনে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করা ৷
(গ) পুলিশ সদস্যদের সেবা প্রদানের জন্য জনগণের কাছাকাছি প্রেরণ করা এবং যে কোন এলাকার প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে আর্বিভূতরুপ।
টহল -অফিসার/দলের দায়িত্ব:-
(ক) জনগণের প্রয়োজনে সাহায্য করা ৷
(খ) যে কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও ঘটনার উপর নজরদারি করা ও প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রনকারী/তদারককারীকর্তৃপক্ষকে জানানো ৷
(গ) অপরাধ সংঘঠন নিবারন করা ৷
(ঘ) সংঘটিত অপরাধ স্থলে তত্ক্ষনাত উপস্থিত হওয়া, ঘটনাস্থলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা ও জনগণের শান্তি রক্ষা করা ৷
টহল দলের সাথে জনগণের আচরণ :-
(ক) যে কেউ টহল দলের কাছ থেকে সাহায্য কামনা করতে পারেন ৷
(খ) অপরাধ নিবারণে টহলদলকে জনগণ সাহায্য করতে পারেন ৷
টহল দুই প্রকার হয় :-
(ক) স্থির টহল :- এটা কোন নির্দিষ্ট মোড়ে বা স্থাপনার সীমাবদ্ধ থাকে ৷ এই টহল দল সাধারণ নির্দিষ্ট স্থানের বাহিরে যান না ৷ কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা, ব্যক্তি বা স্থানের নিরাপত্তার জন্য এই টহল পরিচালিত হয়৷
(খ) চলমান টহল :- একটি নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট রাস্তায় ও গ্রামে এই টহল পরিচালিত হয় ৷ এ জাতীয় টহলে অফিসার ও ফোর্সগণ পায়ে হেঁটে মোটর/বাইসাইকেলে বা মোটরগাড়ি যোগে চলাচলরত থাকেন ৷ প্রত্যেক থানা এলাকায় প্রয়োজন অনুপাতে এক বা একাধিক মোবাইল টহল দল থাকতে পারে ৷ সাধারণ কোন সেবার ডাক পড়লে স্থানীয় এলাকার মোবাইল টহল দল তাতে সাড়া দিয়ে থাকে ৷
বরগুনা জেলার ০৬ টি থানা এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্সগণ দিবা ও নৈশকালীন নিয়মিত টহল ডিউটি পালন করে থাকে।
সভা সমাবেশ : বরগুনা জেলার সংশ্লিষ্ট সকল থানা এলাকায় সকল প্রকার রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক বৈধ সভা সমাবেশ চলাকালে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ অফিসার ও ফোর্স মোতায়েন করা হয়।