জিডি কার্যক্রম : জিডি শব্দের পূর্ণাঙ্গ রূপ হচ্ছে জেনারেল ডায়েরি। যার বাংলা পরিভাষিক অর্থ হলো সাধারণ ডায়রী বা রোজনামচা। 1861 সালের পুলিশ আইনের 44 ধারা, পিআরবি-377 বিধি এবং ফৌজদারী কার্যবিধি 154/155 ধারা মোতাবেক থানায় জেনারেল ডায়েরি (জিডি) রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। এটি 02 কপি কার্বণ সংযোগে মোট 03 কপিতে লিপিবদ্ধ করা হয়। জিডিতে থানা পুলিশের দৈনন্দিন সকল কাজের বিবরণী লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। জিডিতে আমলযোগ্য ও আমলের অযোগ্য সকল অপরাধের সংবাদে লিপিবদ্ধ করা হয়। এছাড়াও হারানো সংবাদ, নিখোঁজ সংবাদসহ যাবতীয় সকল ধরণের তথ্য জিডিতে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।
মামলা কার্যক্রম: মামলা রুজু ও মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে থানা পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। থানায় কোন আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ অফিসার ইনচার্জের নিকট লিখিত বা মৌখিকভাবে পৌঁছানো হলে অফিসার ইনচার্জ ফৌজদারী কার্যবিধি 154 ধারা, পিআরবি-243 বিধি এবং সাক্ষ্য আইনের 9/35 ধারা মোতাবেক তা বিপি ফরম নম্বর-27 ও বেঙ্গল ফরম নং-5356তে 02 কপি কার্বণ সংযোগে মোট 03 কপিতে লিপিবদ্ধ করাকে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী বা এফআইআর বলে। এ ভাবে রুজুকৃত মামলা থানায় নিয়োজিত সাব-ইন্সপেক্টর হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা আদালতের নির্দেশনা ছাড়াই সরাসরি তদন্ত করতে পারে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষে অপরাধের সত্যতা পাওয়া গেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি 173 ধারা ও পিআরবি-272 বিধি মোতাবেক চার্জসিট দাখিল করেন এবং তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত না হলে অপরাধীদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদানের লক্ষ্যে ফৌজদারী কার্যবিধি 173 ধারা ও পিআরবি-275 বিধি মোতাবেক ফাইনাল রিপোর্ট বা চূড়ান্ত রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন।
এছাড়াও আদালতে কোন আমলযোগ্য অপরাধের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত হতে প্রাপ্ত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে উক্ত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে উপরোক্ত আইন ও বিধির আলোকে মামলা রুজু করে একইভাবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।